জমিয়ে আড্ডা ইন্টারনেট
 

সাতকাহন

নীল

উৎসর্গ

এতদিন নিরুচ্চার থেকে
কাটিয়েছি দিবস-রজনী;
যদিও অনেক ছিল ব্যথা,
মুখে তবু টুঁ-শব্দ করিনি৷
আজ দেখো ফিরে এসে যেই,
দেবীহস্তে দিয়েছো জল-ছোলা;
হয়েছি মুখর পুণরোপি---
পাখি নই, পুরোনো হরবোলা

কাকেশ্বরী

---এতো কেনো কালো হলি তুই?
সুরহীন কী কর্কশ স্বর!
কোথা থেকে ধ'রে আনি বল,
সুপাত্র,যে বোঝে অন্তর?
---
ভালো-মন্দ কোরো না বিচার;
গলগ্রহ আমি,বলি শোনো,
জল তো সেই এক-ই নর্দমার,
আধা-আস্ত যে পাত্রই আনো

মিস ময়না

লাক্সারি বাস থেকে নেমে
'
ভারতী অপেরা' হেঁটে চলে,
দেমাকী নায়িকা রঙে-ঢঙে
মজিয়েছে কিন্নর-দলে !
সারাদিন ময়নামতি মেয়ে
রাত্রে যেই শুরু পালাগান,
পাড়াগাঁর সম্মোহিত চোখে
সে তখন স্টেজে---নুরজাহান!

পড়শী চড়ুই

একটি ফাজিল চড়ুই পাখি
জানলা গ'লে যখন-তখন ঢুকে
রোজ ব'লে যায়,কী লিখছো হায়,
সেই বিরহ---দু:খ-ছাড়া---সুখের!
তোর কী খবর ?---ঘোরাই কথা---
মিললো প্রেমিক ?---লতায় পাতায় শেকড় ;
উত্তর দেয়, দিলবালে এক
দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে দেখো

সঞ্চয়

ভোরবেলা যারা স্কুলে যায়,তারা
আসলে দোয়েল পাখি ;
খুনশুটি ক`রে খসানো পালক
অক্ষরে তুলে রাখি

প্ররোচনা

অচিন পাখি বন্দী আছে আমার খাঁচায়
আমার প্রেমে আমার বাঁচায় প্রাত্যহিকের
অচিন পাখি খাঁচায় আমার বন্দী আছে
গুল্মে-লতায় বৃক্ষে-গাছে তুমুল নাচে
আর পারি না
ঝাপটে ডানা দিচ্ছে জানান উড়তে সে চায়
পুড়তে আমি আগ্রহী নই শীঘ্র এত
বুঝেও তবু ঐ যে আলো ঐ যে আকাশ
ঐ যে বাতাস---পাখপাখালি---সমাদৃত
মন্ত্রণা দেয়---কূটকচালি---মুহুর্মুহু---
মরণ ভালো---বোল হরিবোল---দুরন্ত রোল
বলছে পাখি বুকের ভিতর---আগলটা খোল---
আগলটা খোল

জন্মান্তর

---কী আশ্চর্য!
খাতা কেনো কেড়ে নিলে তুমি
?
হে দেবী---প্রাণেশ্বরী
,
এখোনো কত যে লেখা বাকি!

---
অনেক হয়েছে পাগলামি;
এবার মানুষ হও দেখি ।


১৩ ফেব্রুয়ারী ২০০৮