প্রণব রায়চৌধুরী
______আমি , আমার স্ত্রী জয়তী আর মেয়ে শ্রেয়া সেবারে মধ্যপ্রদেশ বেড়াতে বেরিয়েছি । জব্বলপুর থেকে বম্বে এক্সপ্রেসে কলকাতায় ফেরার টিকিট কেটে আমরা পাঁচমাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দিলাম । ঠিক করা ছিল ওখানে এক রাত কাটিয়ে পরের দিন পাঁচমাড়ি পাহাড়ের নিচের রেল ষ্টেশন পিপারিয়া থেকে ট্রেনে জব্বলপুর এসে পরের দিনের বম্বে এক্সপ্রেস ধরবো ।
______সবকিছুই প্ল্যান অনুযায়ী ভালই চলছিল যতক্ষণ না অমল ভৌমিক ও তার স্ত্রী ও মেয়ের সাথে ফেরার দিন সকালে পাঁচমাড়ীতে দেখা হোল । জানলাম ওরাও ওই একই ট্রেনে একই দিনে কলকাতা ফিরছে তবে ওরা জব্বলপুরে রাত্রে থাকছে না । পরের দিন পিপারিয়া থেকেই বম্বে এক্সপ্রেসে উঠছে । সেদিনটা ওরা পাঁচমাড়িতেই কাটাচ্ছে ।ওদের অনুরোধে আমরা সে রাত্রি পাঁচমাড়িতে কাটিয়ে পরের দিন সবাই মিলে সকালে পিপারিয়াতে এসে পৌঁছালাম ।
______ওখানে এসে জানলাম বম্বে এক্সপ্রেস অনেক লেটে চলছে , কখন ওখানে আসবে জানা নেই । আরও জানলাম ওখানে ট্রেনটা দু মিনিট দাঁড়ায় ও পিপারিয়া থেকে জব্বলপুরযাওয়ার ওই ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে না (দূরত্ব কম হওয়ার জন্য) । আমাদের জব্বলপুর থেকে হাওড়া টিকিট ছিল । তাই ওই টিকিটের দরকার ছিল । কি আর করা যাবে , সাধারণ এক্সপ্রেস ট্রেনের অসংরক্ষিত আসনের টিকিট কাটলাম । ঠিক করা হলো অসংরক্ষিত কামরাতেই জব্বলপুর অবধি যাব ।
______ট্রেন এলো ছ ঘন্টা পরে বিকেল চারটের সময়ে । কুলির সাহায্য নিয়ে একটা অসংরক্ষিত কামরার সামনে দাঁড়িয়ে আছি । ট্রেন দাঁড়ালো , দেখলাম ভিতরে খুব ভিঁড় কিন্তু দরজা খুলছে না । তাড়াতাড়ি গার্ডকে ডেকে এনে খোলালাম দরজা । মেয়েদের ঢুকিয়ে দিলাম , নিজেরাও কোনরকমে গেটে ঝুলবার জায়গা করে নিলাম । শত চেষ্টা করেও কিন্তু কুলি কোন স্যুটকেস কামরার মধ্যে ঢোকাতে পারল না । ট্রেন ছেড়ে দিল , আমরা দরজায় , মেয়েরা ভিতরে কোনরকমে বসবার জায়গা জোগাড় করছে । চেঁচিয়ে বললাম চেন্ টানতে । ট্রেন আবার দাঁড়াল , তবে প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে এসে ।
______গার্ড এলেন , ঘটনা শুনলেন , বললেন ট্রেন তখনই অনেক দেরীতে চলছে , উনি খালি দু'মিনিট দাঁড়াতে পারেন তার মধ্যে হয় আমাদের সবাইকে নেমে যেতে হবে , নয় মাল বাদ দিয়ে সবাইকে যেতে হবে , নয় মেয়েরা চলে যাবে মাল ছাড়া , আমরা ছেলে দুজন নেমে মালের খোঁজ করে মাল নিয়ে পরের ট্রেনে আসতে পারি । কোন কারণেই মাল নেবার জন্য ট্রেন থামিয়ে দেরী করা সম্ভব নয় । বলে তিনি চলে গেলেন । আমি জয়তীকে ট্রেনের ভিতরের অন্যলোক মারফত কিছু টাকা ও ওদের টিকিট পাঠিয়ে দিলাম । ট্রেন চলে গেল মেয়েদের নিয়ে ।
______তখন জানতে পারলাম অমলবাবুর কাছে নিজের টিকিট, টাকা কিছুই নেই । সব টিকিট, টাকা ওনার স্ত্রীর কাছে । এরপরে আমরা দুজনে দেখলাম আমাদের কুলি আমাদের স্যুটকেস মাথায় নিয়ে দৌড়ে দৌড়ে আসছে । আমরা ওকে দৌড়ে আসতে বারণ করে দিলাম ও ওখানেই দাঁড়াতে বললাম । আমরা ওর কাছে গেলাম ও তারপরে সবাই মিলে ষ্টেশনে গিয়ে কুলিকে ছেড়ে দিলাম ।
______ষ্টেশন মাস্টারের কাছে গিয়ে সব বললাম । উনি বললেন উনি এখনই পরের ষ্টেশনে খবর পাঠিয়ে যারা ট্রেনে আছে তাদের নেমে যাবার জন্য মাইকে ঘোষণার বন্দোবস্ত করতে পারেন । অমলবাবু তো তখনই রাজী হয়ে যাচ্ছিলেন । আমি কিছু সময় চেয়ে বাইরে এসে অমলবাবুকে বোঝালাম কেন মেয়েদের চলে যাওয়াই ভাল । ওরা ওই ট্রেনেই হাওড়া অবধি যেতে পারবে । জব্বলপুরে গিয়ে নিজেদের সংরক্ষিত কামরায় চলে যেতে পারে , না চাইলে নাও পারে, তাহলে কষ্ট করে অসংরক্ষিত কামরায়ই যেতে হবে, তবে সেখানে ওরা বসার জায়গা পেয়েছে । ওদের কাছে টিকিট, টাকা দুইই আছে । ভাগ্য যদি ভাল হয় আমরা ওদের সাথে জব্বলপুরে গিয়ে মিলতেও পারি । আর যদি ঘোষণা শুনে ওরা নেমে যায় আমরা জানতে পারবো না কোন ষ্টেশনে নামল , আমরাও ওদের সাথে দেখা করতে অসুবিধায় পড়বো , ওরাও ফেরার ব্যাপারে নানা অসুবিধায় পড়বে ।
______তা সত্ত্বেও অমলবাবু ঘোষণা করাবেন মনস্থ করলেন । তখন আমি বাধ্য হয়ে বললাম আপনি খালি আপনার স্ত্রী ও মেয়ের কথা ঘোষণা করান । আমি চাই আমার স্ত্রী ও মেয়ে এভাবেই হাওড়া যাক । তখন উনি আর কারো ঘোষণার কথা চাইলেন না । আমরা সেভাবে ষ্টেশন মাস্টারকে বলে এলাম ।
______এবার জানতে পারলাম ওখান থেকে জব্বলপুরের পরের গাড়ি পবন এক্সপ্রেস এক ঘন্টা পরে । আরো জানলাম বোম্বে এক্সপ্রেস ওই লাইনের সবচেয়ে দ্রুতগামী গাড়ি । পবন এক্সপ্রেস জব্বলপুরে পৌঁছবার অনেক আগেই বোম্বে এক্সপ্রেস জব্বলপুর ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ।
যথা সময়ে ট্রেন এল ও মালপত্র তুললাম । বেশ ফাঁকাই ছিল । প্রায় আড়াই ঘন্টা লাগবে জব্বলপুরে পৌঁছতে । প্রত্যেক ষ্টেশনে ট্রেন থামলেই অমলবাবু জিজ্ঞাসা করেন বোম্বে এক্সপ্রেস সম্বন্ধে । কেউ কিছু বলতে পারেন না ।
______যখন প্রায় পনেরো মিনিট বাকি আছে কোন এক ষ্টেশন থেকে উঠে এক ভদ্রলোক প্রথম বললেন তিনি ষ্টেশনে ঢোকার সময় তাঁর মনে হয়েছিল বোধহয় বোম্বে এক্সপ্রেস কিছু আগে ছেড়ে গেছে । অমলবাবু আর কিছু জিজ্ঞাসা করতে গেলে উনি রুঢ় ভাবে ওনাকে থামিয়ে দিলেন ও বললেন যদি এর থেকে বেশি কিছু পরে জানতে পারেন তাহলে আমাদের জানাবেন ।উনি এবার আমার থেকে পুরো ঘটনাটা জেনে নিলেন। তার কিছুক্ষণ পরে বুঝলাম জব্বলপুর ষ্টেশন আসছে । আর তখনই যা আরম্ভ হোল তা যে কোন রোমহর্ষকারী হিন্দী সিনেমার চেয়েও শ্বাসরোধকারী ।
______ওই ভদ্রলোক হঠাৎ সিট ছেড়ে উঠে দরজার কাছে গেলেন ও তার পরেই ফিরে এসে আমাদের বললেন আমাদের বড় স্যুটকেস দুটো দরজার কাছে নিয়ে আসতে । আমরা দরজার কাছে মাল আনার আগেই উনি চলন্ত ট্রেন থেকে নেমে গেছেন ও ট্রেনের পাশে দৌড়চ্ছেন । আমাদের বললেন স্যুটকেস দুটো ফেলে দিতে ।আমরা প্রথমে একটু ইতস্তত করছিলাম । কিন্তু ট্রেন আরও গতি কমানোর জন্য ফেলে দিলাম । উনি সেগুলো পড়ার আগেই লুফে নিলেন ও আমাদের লাফিয়ে পড়তে বললেন । ট্রেন তখন বেশ আস্তে চলছে ।আমরাও নেমে পড়লাম। দেখলাম আমাদের ডানদিকে কিছু আগে অন্য একটা ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে ।আমাদের ট্রেন বাঁদিকে তখনও আস্তে আস্তে এগোচ্ছে ও প্ল্যাটফর্মে ঢুকছে ।
______উনি আমাদের স্যুটকেসদুটো নিয়ে আমাদের আগে দৌড়চ্ছেন আমরা পিছনে পিছনে অন্য ছোট মাল নিয়ে দৌড়চ্ছি । উনি থামা ট্রেনটার শেষ কামরা থেকে আরম্ভ করে প্রতি কামরার দরজ়ার সামনে মাল রাখছেন , দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠছেন , ভিতরের লোকের সঙ্গে কি কথা বলছেন ,ফিরে আসছেন , আবার মাল তুলে আগের কামরা অবধি দৌড়চ্ছেন ও আগের কাজের পুনরাবৃত্তি করছেন । আমরা পিছনে পিছনে শুধু ট্রেনের পাশে দৌড়েই হাঁপিয়ে পড়েছি ।
______এবার একটা প্রথম শ্রেণীর কামরায় উঠলেন, বন্ধ দরজায় মধ্য দিয়ে কন্ডাকটার গার্ডের সঙ্গে কি কথা বললেন আবার নীচে নেমে আমাদের স্যুটকেসদুটো নিয়ে উপরে উঠলেন, এদিকের দরজা খুলে গেল , আমরা কামরার মধ্য দিয়ে ওদিকে গেলাম ও খোলা দরজা দিয়ে প্ল্যাটফর্মে নামলাম । উনি খালি আমাদের বলতে পারলেন আগের কামরাটাতেই আমাদের সংরক্ষিত আসন রয়েছে ।
______আমরা কোনরকমে মাল নিয়ে উঠলাম । তার আগেই ট্রেন চলতে সুরু করেছে । মাল রেখে যখন পিছনে ফিরে তাকালাম ওনাকে আর দেখতে পেলাম না । ওনার এধরণের উপকার আমাদের চিরদিন মনে থাকবে যা না করলে আমাদের দুর্দশা যে আরো অনেক বাড়ত তা বলাই বাহুল্য । কিন্তু ওনাকে একটা ছোট ধন্যবাদ জানাবার সুযোগও পেলাম না ।
______যাইহোক , ভাবলাম আমাদের কষ্টের ও দুশ্চিন্তার বোধহয় শেষ হয়েছে । আমাদের নম্বরের আসনের কাছে গিয়ে দেখলাম সেখানে অন্যলোকেরা বসে রয়েছে । আমাদের মেয়ে বউরা কেউ নেই । কন্ডাকটারের কাছ থেকে জানলাম ওই সিটের জন্য কেউ আসেনি বলে ও অন্যদের দিয়ে দিয়েছে । তবে তখনি সিটগুলো খালি করে দিল । আমরা তো আবার মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লাম ।
______এবার চিন্তাটা আরো গভীর ও আশঙ্কাজনক । ট্রেনটা নিশ্চয় জব্বলপুরে অনেকক্ষণ ছিল । তাহলে ওরা এল না কেন ? ভালোর মধ্যে এই চিন্তা , ওরা হয়ত এই সিটের খোঁজ করার জন্য নিজেদের অসংরক্ষিত কামরার সিট ছাড়তে চায়নি । তখন রাত নটা বেজে গেছে , পরের ষ্টেশন কাট্নি আসবে দশটার পরে , থামবে মাত্র দুমিনিট । কি করে ওদের খোঁজ করব ও এখানে আনব । অন্ততঃ ওরা যে এই ট্রেনেই আছে সে খবরটা তখন ভীষণ জরুরী ।
______কিংকর্ত্তব্যবিমূঢ় হয়ে সবে জায়গায় বসেছি একজন উত্তর ভারতীয় ২৫/২৬ বছরের যুবক , হাতে একটা রসোগোল্লার হাড়ি আর জলের বোতল , এসে পাশে বসে বললেন , " দাদা বহুৎ থক্ গিয়া, মুহ্ মিঠা কিজিয়ে , পানি পি লিজিয়ে আউর উসকা বাদ বাতাইয়ে কেয়া হুয়া " । ওর আর ওর অন্য বন্ধুদের অনুরোধে কয়েকটা রসোগোল্লা ও জল খেলাম । খিদে আর জলতেষ্টা দুটোই খুব পেয়েছিল ।
______এবার ওদের পুরো ঘটনাটা বললাম । ওরা আমাদের কিছু করতে বারণ করল । যা করার ওরা নাকি চিন্তা করে করবে ।খালি আমাদের মেয়েদের নামদুটো জেনে নিল । কিছু পরে আমাকে এসে বললো ওদের কাজ ট্রেন কাট্নি ষ্টেশনে ঢুকলেই শুরু হবে । আমাকে বসে বসে তখন শুধু দুটো কাজ করতে হবে । ওরা সবাই কামরা থেকে ওখানে নেমে যাবে, ওরা ফিরে আসার আগে যদি ট্রেন ছেড়ে দেয় তবে চেন টানতে হবে । আর যদি ওরা আমাদের বউ মেয়েকে নিয়ে আসে তবে সনাক্ত করতে হবে ।
______খুবই দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে । ওরা এসে একবার জিজ্ঞাসা করল অসংরক্ষিত কামরাটা কোথায় বলতে পারি কিনা , সেটা এই কামরার আগে না পরে , কতগুলো কামরার আগে বা পরে ইত্যাদি ।আমরা কিছুই বলতে পারলাম না। ওরা তখন ঠিক করলো দুদলে বিভক্ত হয়ে একদল সামনের দিকে , আর একদল পিছনের দিকে যাবে । ট্রেন একসময়ে কাট্নি এল । ওরা দুদল হুইসিল বাজাতে বাজাতে মেয়েদের নাম ধরে চেঁচাতে চেঁচাতে দুদিকে দৌড়ে চলে গেল ।
______এবারে যেটা ঘটল তা যদি আমার নিজের সাক্ষাৎ অভিজ্ঞতা না হতো আমি কিছুতেই বিশ্বাস করতাম না । ওরা চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গে দেখলাম ঠিক আমার মেয়ের মতো একটা মেয়ে আমাদের কামরাতেই আমার কিছুটা আগে দাঁড়িয়ে রয়েছে । একেবারে হতম্ভব হয়ে আছে । কাউকে চিনতে পারছে বলে মনে হচ্ছে না । আর আমি ভাবছি অন্য কারুর মেয়ে কিন্তু আমার মেয়ের মতো দেখতে । বেশ কিছুটা পরে প্রায় ট্রেন ছেড়ে দেবার সময় ওদের কয়েকজন আমার বউকে নিয়ে এসে বলতে বলল সেই ওদের ভাবী কিনা ।
______এ সময়ে আর একটা অদ্ভুৎ ব্যাপার ঘটল । ওই আমার মেয়ের মতো দেখতে মেয়েটা জোরে কেঁদে উঠল আর জয়তী ওকে কোলে তুলে নিতেই কান্না বন্ধ করল । ওকে বোধহয় কেউ ঘুমন্ত অবস্থায় কোলে করে এই কামরায় নিয়ে এসেছিল । তাই পুরো হকচকিয়ে গিয়েছিল । আর আমি প্রমাণ পেলাম সময়ের পরিমাণ সব অবস্থায় বিজ্ঞান অনুযায়ী এক হলেও আসলে মানসিক অবস্থার উপর এই পরিমাণ পুরোপুরি নির্ভরশীল ।
______অমলবাবুর স্ত্রী ও মেয়েকেও ওরা এনেছিল । আমরা সবাই আবার এক হলাম । ট্রেন তখন আবার জোরে চলতে লাগল । আমরা ও ওই ছেলেরা সবাই খুব ক্লান্ত । যে যার জায়গায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম ও অল্প পরেই ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন ভোরবেলায় উঠে ধন্যবাদ দেবার জন্য ওই ছেলেদের খোঁজ করতে গিয়ে জানলাম যে ওরা মাঝরাত্তিরে এলাহাবাদ ও মোঘলসরাই ষ্টেশনে নেমে গেছে । এই উপকারটার জন্যও কারুকে ধন্যবাদ দেওয়া হল না ।
______বাকি পথটা আনন্দ করতে করতে অনেক দেরীতে হাওড়া এসে পৌঁছলাম । সবাই যে যার বাড়ি ফিরে এলাম । মনটা অবশ্যএকটু খারাপ লাগছিল স্বার্থহী্ন উপকারী সেই জব্বলপুরের ভদ্রলোক আর ওই পুজোর ছুটিতে বাড়ি ফেরা একদল যুবকের কথা ভেবে । যাদের কাছ থেকে শুধু নিয়েই গেলাম । বিনিময়ে ধন্যবাদ জানানোর কর্ত্তব্যটাও পালন করতে পারলাম না ।
২৬ মার্চ ২০০৮